ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই সনদকে আইনি বৈধতা দিতে গণভোটই একমাত্র পথ

  • অনলাইন ডেক্স
  • আপলোড সময় : ১০:৩৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ২১২ Time View

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি মিযা গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “জুলাই চার্টার বা জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হলে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন ছাড়া বিকল্প নেই। একই দিনে জাতীয় ভোট ও গণভোট আয়োজন জনগণকে বিভ্রান্ত করারই সামিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না দিলে জাতিকে গভীর সংকটে ফেলে দেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের সংশোধন এনে এখনো এই ভুল সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। একই দিনে দু’টি ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘জনবিরোধী’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যারা জুলাই সনদ মানতে চায় না, তাদের জন্য ২৬-এর জাতীয় নির্বাচন নয়। জনগণকে ধোঁকার মধ্যে রাখা যাবে না। গণভোটের আগে জাতীয় নির্বাচন দেওয়া মানেই জুলাই সনদের বৈধতা এড়িয়ে যাওয়া।

তিনি অভিযোগ করেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল নাকি সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার সাথে ‘গাপন বৈঠক’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, নির্বাচনের দাবি ও আন্দোলন-দুটোই একসাথে চলবে। গণভোট ছাড়া নির্বাচন হলে গণতন্ত্রের জন্য তা বড় হুমকি হবে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও জানান, আগামী ১৬ নভেম্বর দেশের ৮টি ইসলামী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসবেন এবং সেখানে পরবর্তী করণীয় ও সম্ভাব্য আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারণ হবে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যে সিদ্ধান্তই আসুক, সবাইকে সেই সিদ্ধান্তের আলোকে আন্দোলনে যুক্ত হতে হবে।”

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা-৩ আসনের দৌলতপুর থানাধীন শহীদ মিনার চত্বরে দৌলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। দৈৗলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুহাম্মাদ মুশাররফ আনসারীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। মহানগরী ব্যবসায়ী থানার সাধারণ সম্পাদক আজিজুর
রহমান স্বপনের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, খুলনা মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খুলনা জেলা সহকারী সেক্রেটারি গাউসুল আযম হাদী, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইউসুফ ফকির, মহানগরী সেক্রেটারি রাকিব হাসান, মহানগরী যুববিভাগের সভাপতি মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, অধ্যাপক ইকবা হোসেন, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, খালিশপুর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতপুর থানা সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন, কাউন্সিলর প্রার্থী হুমায়ুন কবীর, ডা. সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, বিএল কলেজের সাবেক ভিপি এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, মতিয়ার রহমান, মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান বক্তা অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, মহান আল্লাহর ইচ্ছায় ও জনগণের ভালোবাসা এবং ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজ মুক্ত ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠন করব ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে সমাজে নেতৃত্বের পরিবর্তন অপরিহার্য। তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ যদি আমরা ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজ মুক্ত না করতে পারি, তাহলে এই দেশ ব্যর্থ হবে।

খুলনা-৩ আসনের এই এমপি প্রার্থী বলেন, আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখি যেখানে সত্য ন্যায় ও নৈতিকতার ভিত্তিতে সমাজ পরিচালিত হবে। একটি কল্যাণভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমাদের অঙ্গীকার। আমি আপনাদের ভাই আমার জীবন আমি আপনাদের কল্যাণে উৎসর্গ করতে চাই। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি উন্নয়ন ন্যায়বিচার ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি আপনাদের পাশে থাকব। ইনশাআল্লাহ যদি আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেন তাহলে প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকান্ডে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে অগ্রসর হব।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদকে আইনি বৈধতা দিতে গণভোটই একমাত্র পথ

জুলাই সনদকে আইনি বৈধতা দিতে গণভোটই একমাত্র পথ

আপলোড সময় : ১০:৩৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি মিযা গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “জুলাই চার্টার বা জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হলে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন ছাড়া বিকল্প নেই। একই দিনে জাতীয় ভোট ও গণভোট আয়োজন জনগণকে বিভ্রান্ত করারই সামিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না দিলে জাতিকে গভীর সংকটে ফেলে দেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের সংশোধন এনে এখনো এই ভুল সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। একই দিনে দু’টি ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘জনবিরোধী’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যারা জুলাই সনদ মানতে চায় না, তাদের জন্য ২৬-এর জাতীয় নির্বাচন নয়। জনগণকে ধোঁকার মধ্যে রাখা যাবে না। গণভোটের আগে জাতীয় নির্বাচন দেওয়া মানেই জুলাই সনদের বৈধতা এড়িয়ে যাওয়া।

তিনি অভিযোগ করেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল নাকি সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার সাথে ‘গাপন বৈঠক’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, নির্বাচনের দাবি ও আন্দোলন-দুটোই একসাথে চলবে। গণভোট ছাড়া নির্বাচন হলে গণতন্ত্রের জন্য তা বড় হুমকি হবে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও জানান, আগামী ১৬ নভেম্বর দেশের ৮টি ইসলামী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসবেন এবং সেখানে পরবর্তী করণীয় ও সম্ভাব্য আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারণ হবে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যে সিদ্ধান্তই আসুক, সবাইকে সেই সিদ্ধান্তের আলোকে আন্দোলনে যুক্ত হতে হবে।”

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা-৩ আসনের দৌলতপুর থানাধীন শহীদ মিনার চত্বরে দৌলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। দৈৗলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুহাম্মাদ মুশাররফ আনসারীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। মহানগরী ব্যবসায়ী থানার সাধারণ সম্পাদক আজিজুর
রহমান স্বপনের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, খুলনা মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খুলনা জেলা সহকারী সেক্রেটারি গাউসুল আযম হাদী, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইউসুফ ফকির, মহানগরী সেক্রেটারি রাকিব হাসান, মহানগরী যুববিভাগের সভাপতি মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, অধ্যাপক ইকবা হোসেন, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, খালিশপুর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতপুর থানা সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন, কাউন্সিলর প্রার্থী হুমায়ুন কবীর, ডা. সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, বিএল কলেজের সাবেক ভিপি এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, মতিয়ার রহমান, মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান বক্তা অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, মহান আল্লাহর ইচ্ছায় ও জনগণের ভালোবাসা এবং ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজ মুক্ত ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠন করব ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে সমাজে নেতৃত্বের পরিবর্তন অপরিহার্য। তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ যদি আমরা ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজ মুক্ত না করতে পারি, তাহলে এই দেশ ব্যর্থ হবে।

খুলনা-৩ আসনের এই এমপি প্রার্থী বলেন, আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখি যেখানে সত্য ন্যায় ও নৈতিকতার ভিত্তিতে সমাজ পরিচালিত হবে। একটি কল্যাণভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমাদের অঙ্গীকার। আমি আপনাদের ভাই আমার জীবন আমি আপনাদের কল্যাণে উৎসর্গ করতে চাই। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি উন্নয়ন ন্যায়বিচার ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি আপনাদের পাশে থাকব। ইনশাআল্লাহ যদি আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেন তাহলে প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকান্ডে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে অগ্রসর হব।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন