ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবী করিম (সা.) বলেছেন,মিথ্যা সব পাপের জননী

  • অনলাইন ডেক্স
  • আপলোড সময় : ০৩:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ২১৫ Time View

মসলমানদের একটি প্রধান গুণ হলো সত্যবাদিতা। সত্য বলা, সাক্ষ্য দেওয়া এবং সত্য প্রতিষ্ঠা করা তাদের মৌলিক কর্তব্য। তারা মিথ্যা, প্রতারণা ও ধোঁকা থেকে দূরে থাকে। কোরআনে আল্লাহ মুমিনদের গুণাবলি বর্ণনা করেছেন, যেখানে মুসলমান পুরুষ ও নারীর গুণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ মুমিনদের সত্যবাদীদের সাথে থাকার নির্দেশ দেন।

 

মিথ্যা এবং প্রতারণা মুনাফিকদের , যা মানতে আল্লাহ মুমিনদের সতর্ক করেন। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মুনাফিকের তিনটি চিহ্ন রয়েছে: মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা এবং আমানতের প্রতি খেয়ানতি করা। যারা মিথ্যা বলে, তারা সাধারণত সফলতা ও সঠিক পথ থেকে দূরে থাকে। আল্লাহ মিথ্যুকদের পছন্দ করেন না।

 

সত্য মানুষের জন্য কল্যাণ নিয়ে আসে এবং জাহান্নাম থেকে রক্ষা করে। আল্লাহর রাসুল বলেছেন, সত্যবাদিতা পুণ্যের দিকে নিয়ে যায়, আর পুণ্য জান্নাতের দিকে। মিথ্যা বলা পাপের কাজ ও জাহান্নামের দিকে ঠেলে দেয়। যারা মিথ্যা কথা, সাক্ষ্য ও মামলা দিয়ে অন্যদের ক্ষতি করে, তারা দুনিয়ায় শাস্তি ভোগ করতে পারে এবং পরকালে জাহান্নামের কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে।

 

একটি ঘটনার মধ্যে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দেখেন একটি দল তাদের সমস্যা নিয়ে উচ্চকণ্ঠে কথা বলছে। তিনি তাদের বলেন, বিচার করতে গেলে হতে পারে যে তিনি একজনের যুক্তি শুনে প্রভাবিত হয়ে ভুল ফয়সালা করে ফেলবেন। এমতাবস্থায়, ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে গিয়ে কাউকে অন্যায়ের মাধ্যমে কিছু দেওয়া উচিত নয়।

 

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি অন্যায়কে সমর্থন করে, আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হন। যে ব্যক্তি মুমিনকে মিথ্যা দোষে অভিযুক্ত করে, তার জন্য কঠিন শাস্তির পরিণতি অপেক্ষা করছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

নবী করিম (সা.) বলেছেন,মিথ্যা সব পাপের জননী

আপলোড সময় : ০৩:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

মসলমানদের একটি প্রধান গুণ হলো সত্যবাদিতা। সত্য বলা, সাক্ষ্য দেওয়া এবং সত্য প্রতিষ্ঠা করা তাদের মৌলিক কর্তব্য। তারা মিথ্যা, প্রতারণা ও ধোঁকা থেকে দূরে থাকে। কোরআনে আল্লাহ মুমিনদের গুণাবলি বর্ণনা করেছেন, যেখানে মুসলমান পুরুষ ও নারীর গুণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ মুমিনদের সত্যবাদীদের সাথে থাকার নির্দেশ দেন।

 

মিথ্যা এবং প্রতারণা মুনাফিকদের , যা মানতে আল্লাহ মুমিনদের সতর্ক করেন। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মুনাফিকের তিনটি চিহ্ন রয়েছে: মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা এবং আমানতের প্রতি খেয়ানতি করা। যারা মিথ্যা বলে, তারা সাধারণত সফলতা ও সঠিক পথ থেকে দূরে থাকে। আল্লাহ মিথ্যুকদের পছন্দ করেন না।

 

সত্য মানুষের জন্য কল্যাণ নিয়ে আসে এবং জাহান্নাম থেকে রক্ষা করে। আল্লাহর রাসুল বলেছেন, সত্যবাদিতা পুণ্যের দিকে নিয়ে যায়, আর পুণ্য জান্নাতের দিকে। মিথ্যা বলা পাপের কাজ ও জাহান্নামের দিকে ঠেলে দেয়। যারা মিথ্যা কথা, সাক্ষ্য ও মামলা দিয়ে অন্যদের ক্ষতি করে, তারা দুনিয়ায় শাস্তি ভোগ করতে পারে এবং পরকালে জাহান্নামের কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে।

 

একটি ঘটনার মধ্যে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দেখেন একটি দল তাদের সমস্যা নিয়ে উচ্চকণ্ঠে কথা বলছে। তিনি তাদের বলেন, বিচার করতে গেলে হতে পারে যে তিনি একজনের যুক্তি শুনে প্রভাবিত হয়ে ভুল ফয়সালা করে ফেলবেন। এমতাবস্থায়, ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে গিয়ে কাউকে অন্যায়ের মাধ্যমে কিছু দেওয়া উচিত নয়।

 

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি অন্যায়কে সমর্থন করে, আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হন। যে ব্যক্তি মুমিনকে মিথ্যা দোষে অভিযুক্ত করে, তার জন্য কঠিন শাস্তির পরিণতি অপেক্ষা করছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন