ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

  • অনলাইন ডেক্স
  • আপলোড সময় : ১০:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ২১১ Time View

গাজীপুরে একটি আবাসিক ভবন থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় স্বামীকেও গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে মহানগরীর কোনাবাড়ী নওয়াব আলী মার্কেট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের কিছুক্ষণ পর পাশে পড়ে থাকার স্বামীর পালস পাওয়া যায়, এরপর দ্রুতই তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত হলেন, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার আমতলা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে এমরান হোসেন (৪০) ও নিহত তার স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩৫)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এমরান ও রহিমা তাদের সন্তান শারমিনকে নিয়ে কোনাবাড়ি নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একতা ভিলার ৫তলায় ভাড়া থাকতেন। তাদের মধ্যে কোনো এক বিষয় নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়৷ তারই জেরে এমরান ধারালো দা দিয়ে প্রথমে স্ত্রী রহিমাকে জবাই করে। পরে নিজেও ওই দা নিয়ে নিজের গলা কেটে ফেলে৷ এ ঘটনা তাদের ১৬ বছর বয়সী মেয়ে শারমিন দেখেছেন বলে জানান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধারের কিছুক্ষণ পর আমরা তল্লাশি চালালে স্বামী এমরান হোসেনের পালস পাওয়া যায়। তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার স্ত্রী রহিমার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হচ্ছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে৷ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

আপলোড সময় : ১০:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

গাজীপুরে একটি আবাসিক ভবন থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় স্বামীকেও গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে মহানগরীর কোনাবাড়ী নওয়াব আলী মার্কেট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের কিছুক্ষণ পর পাশে পড়ে থাকার স্বামীর পালস পাওয়া যায়, এরপর দ্রুতই তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত হলেন, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার আমতলা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে এমরান হোসেন (৪০) ও নিহত তার স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩৫)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এমরান ও রহিমা তাদের সন্তান শারমিনকে নিয়ে কোনাবাড়ি নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একতা ভিলার ৫তলায় ভাড়া থাকতেন। তাদের মধ্যে কোনো এক বিষয় নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়৷ তারই জেরে এমরান ধারালো দা দিয়ে প্রথমে স্ত্রী রহিমাকে জবাই করে। পরে নিজেও ওই দা নিয়ে নিজের গলা কেটে ফেলে৷ এ ঘটনা তাদের ১৬ বছর বয়সী মেয়ে শারমিন দেখেছেন বলে জানান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধারের কিছুক্ষণ পর আমরা তল্লাশি চালালে স্বামী এমরান হোসেনের পালস পাওয়া যায়। তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার স্ত্রী রহিমার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হচ্ছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে৷ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন