পঞ্চগড়ে ৪২টি সরকারি দপ্তর ও সংস্থার বিরুদ্ধে ১১৮টি অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত ১৮৯তম গণশুনানিতে—যা দুদকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অভিযোগের শুনানি।
আজ (০৯ নভেম্বর ২০২৫) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঠাকুরগাঁও-এর আয়োজনে পঞ্চগড় জেলা সরকারি অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।
কমিশনারের বক্তব্য
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কমিশনার সরকারি কর্মকর্তাদের সততা ও নীতিবোধ চর্চার আহ্বান জানিয়ে বলেন—
“আপনার মাথায় রাজনৈতিক নেতা বা বড় ভাইয়ের হাত থাকলেও মনে রাখবেন—আপনি একজন সরকারি চাকুরিজীবী। নিজের বিবেক লিজ দেবেন না। ব্যক্তিগত লোভ পরিহার করে নিজ নিজ দপ্তরকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই গণশুনানির মূল লক্ষ্য।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্য
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন—
“দুর্নীতি করার আগে একশতবার ভাবুন। একটি মামলা আপনার ও আপনার পরিবারের জীবন দুর্বিষহ করে দিতে পারে।”
সভাপতিত্ব করেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন—
• পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী
• জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডা. মো. খালিদ তৌহিদ
• দুদকের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক মোহাং নুরুল হুদা
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
গণশুনানিতে মোট ২০০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে দুদকের তফসিলভুক্ত ১১৮টি অভিযোগের শুনানি হয়।
• ০২টি অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত
• সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষক ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত
• বাকি অভিযোগগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়
অনলাইন ডেক্স 






















