বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে আহ্বান জানিয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত ‘জুলাই সনদ’-কে আইনি ভিত্তি প্রদান করা হোক এবং সংস্কারবিরোধী মনোভাব পরিহার করা হোক। কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম আজ এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারের শাসনামলে দেশে একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা তৈরি হয়েছে এবং অতীতে সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কিছু দমন-পীড়নের ঘটনাও ঘটেছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, জুলাই গণঅভ্যুত্থান এই শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি সুযোগ হিসেবে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ খুলেছে।
ছাত্রশিবিরের বক্তব্যে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তিতে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ছিল জুলাই গণহত্যার বিচার, শহীদ পরিবারদের পুনর্বাসন, আহতদের সুচিকিৎসা এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মৌলিক সংস্কার। তবে তারা অভিযোগ করেন, সরকার এ দায়িত্ব পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাতে পারেনি এবং কিছু রাজনৈতিক দল সংস্কার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, উচ্চকক্ষে প্রস্তাবিত proportional representation (PR) ভিত্তিক আসনবণ্টন, PSC ও অন্যান্য নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার বিষয়গুলোতে কিছু রাজনৈতিক দল ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে সংস্কারবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত যাচাই করাই সরকারের দায়িত্ব।
ছাত্রশিবিরের বিবৃতিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়েছে এবং সকল পক্ষকে সংস্কার-পরিপন্থী মনোভাব পরিহার করার অনুরোধ ক
রা হয়েছে।
অনলাইন ডেক্স 





















