ঢাকা ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী ও মাহির

  • অনলাইন ডেক্স
  • আপলোড সময় : ০২:১২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • ২১৩ Time View

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেনকে হত্যার দায় প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী ও মাহির রহমান। এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয় এক মাস আগে। অভিযুক্ত ছাত্রী ও মাহিরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত ওই ছাত্রী ও মাহিরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্কের ইতি টেনে টিউশনির শিক্ষক জোবায়েদ হোসেনকে পছন্দ করেন তার ওই ছাত্রী। এ বিষয়ে প্রাক্তন প্রেমিক মাহির রহমানকে সরাসরি জানান তিনি। সম্প্রতি জোবায়েদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ওই মেয়ে। এরপরই গত ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ও মাহির একসঙ্গে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

তিনি আরও বলেন, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওই ছাত্রী মাহিরকে জানান, জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। এরপরই তারা দুজন মিলে তাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। ২৫ সেপ্টেম্বর তারা দু’টি সুইচগিয়ার ক্রয় করে হত্যার প্রস্তুতি নেন। পরিকল্পনা ছিল, দুই দিক থেকে আক্রমণ করে জোবায়েদকে হত্যা করা।

ওসি আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী, রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে টিউশনিতে যাওয়ার সময় আরমানিটোলার নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলার নিচে জোবায়েদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন মাহির। এ সময় তার সঙ্গে ছিল বন্ধু ফারদিন আহম্মেদ আয়লান। জোবায়েদের অবস্থানসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করেন ওই ছাত্রী।

ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী বাসায় পড়াতে গিয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ। বাসার গেট দিয়ে ঢুকে সিঁড়িতে ওঠার সময় তাকে সুইচগিয়ার দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জোবায়েদের।

সে রাতেই পুলিশ ওই মেয়েকে হেফাজতে নেয়। পরদিন প্রধান আসামি মাহির রহমান ও তার সহযোগী ফারদিন আহম্মেদ আয়লানকেও গ্রেফতার করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী ও মাহির

আপলোড সময় : ০২:১২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেনকে হত্যার দায় প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী ও মাহির রহমান। এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয় এক মাস আগে। অভিযুক্ত ছাত্রী ও মাহিরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত ওই ছাত্রী ও মাহিরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্কের ইতি টেনে টিউশনির শিক্ষক জোবায়েদ হোসেনকে পছন্দ করেন তার ওই ছাত্রী। এ বিষয়ে প্রাক্তন প্রেমিক মাহির রহমানকে সরাসরি জানান তিনি। সম্প্রতি জোবায়েদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ওই মেয়ে। এরপরই গত ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ও মাহির একসঙ্গে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

তিনি আরও বলেন, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওই ছাত্রী মাহিরকে জানান, জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। এরপরই তারা দুজন মিলে তাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। ২৫ সেপ্টেম্বর তারা দু’টি সুইচগিয়ার ক্রয় করে হত্যার প্রস্তুতি নেন। পরিকল্পনা ছিল, দুই দিক থেকে আক্রমণ করে জোবায়েদকে হত্যা করা।

ওসি আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী, রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে টিউশনিতে যাওয়ার সময় আরমানিটোলার নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলার নিচে জোবায়েদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন মাহির। এ সময় তার সঙ্গে ছিল বন্ধু ফারদিন আহম্মেদ আয়লান। জোবায়েদের অবস্থানসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করেন ওই ছাত্রী।

ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী বাসায় পড়াতে গিয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ। বাসার গেট দিয়ে ঢুকে সিঁড়িতে ওঠার সময় তাকে সুইচগিয়ার দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জোবায়েদের।

সে রাতেই পুলিশ ওই মেয়েকে হেফাজতে নেয়। পরদিন প্রধান আসামি মাহির রহমান ও তার সহযোগী ফারদিন আহম্মেদ আয়লানকেও গ্রেফতার করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন