ঢাকা, ২০ অক্টোবর ২০২৫:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
সোমবার বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই জাতীয় সনদ ঘোষণা করলেও এখনো তার আইনি ভিত্তি তৈরি ও বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে পারেনি। এই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার অন্যতম দাবি।”
তিনি আরও বলেন, জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছিল ফ্যাসিবাদীদের বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে নির্বাচন ও সংস্কারের কোন মূল্য থাকবে না। অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও গণভোটের মাধ্যমে এর আইনি ভিত্তি শক্তিশালী করার দাবি জানান তিনি।
এসময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন, নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সংসদের উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, ফ্যাসিবাদীদের বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান করা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি তোলেন নেতারা।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম।
সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগরী উত্তর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী, খেলাফত মজলিসের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা নুরুল হক, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ইলিয়াস আহমদ, হুমায়ুন কবির আজাদ, কাজী আরিফুর রহমান, এনামুল হক হাসান, মুন্সী মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, শাহ শিহাব উদ্দিন, জামিরুল ইসলাম প্রমুখ।
⸻
খেলাফত মজলিসের ৬ দফা দাবি:
১. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন।
২. জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম, নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫. ফ্যাসিবাদীদের বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান করা এবং তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখা।
৬. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
অনলাইন ডেক্স 






















