ঢাকা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

**কাকরাইলে রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে সহিংস পরিস্থিতি, সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে**

  • অনলাইন ডেক্স
  • আপলোড সময় : ০১:১৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
  • ২২৭ Time View

ঢাকা, ২৯ আগস্ট ২০২৫ (শুক্রবার): রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটেছে। শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টায় শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও সংঘর্ষ বৃদ্ধির কারণে তারা সেনাবাহিনীর সহায়তা গ্রহণ করে। সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশের ওপরও হামলা চালানো হয় এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে স্থান ত্যাগ করার এবং দেশের আইন মেনে আচরণ করার জন্য অনুরোধ জানায়। তবে কিছু নেতাকর্মী বারবার এই অনুরোধ উপেক্ষা করে এবং মব ভায়োলেন্স চালিয়ে পরিস্থিতি আরও অশান্ত করে। রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা বৃদ্ধি পায়, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়।

সংঘর্ষের ফলে বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বাধ্য হয়ে বল প্রয়োগ করে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৫ জন সদস্য আহত হন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সকল ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নীতি পুনর্ব্যক্ত করে জনমনে নিরাপত্তা এবং শান্তি নিশ্চিত করতে সকল ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণে প্রস্তুত। সেনাবাহিনী সর্বদা জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।

উল্লেখ্য, এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে প্রকাশ করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

**কাকরাইলে রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে সহিংস পরিস্থিতি, সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে**

আপলোড সময় : ০১:১৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা, ২৯ আগস্ট ২০২৫ (শুক্রবার): রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটেছে। শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টায় শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও সংঘর্ষ বৃদ্ধির কারণে তারা সেনাবাহিনীর সহায়তা গ্রহণ করে। সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশের ওপরও হামলা চালানো হয় এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে স্থান ত্যাগ করার এবং দেশের আইন মেনে আচরণ করার জন্য অনুরোধ জানায়। তবে কিছু নেতাকর্মী বারবার এই অনুরোধ উপেক্ষা করে এবং মব ভায়োলেন্স চালিয়ে পরিস্থিতি আরও অশান্ত করে। রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা বৃদ্ধি পায়, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়।

সংঘর্ষের ফলে বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বাধ্য হয়ে বল প্রয়োগ করে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৫ জন সদস্য আহত হন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সকল ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নীতি পুনর্ব্যক্ত করে জনমনে নিরাপত্তা এবং শান্তি নিশ্চিত করতে সকল ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণে প্রস্তুত। সেনাবাহিনী সর্বদা জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।

উল্লেখ্য, এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে প্রকাশ করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন