শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
এর আগে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগে শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে রাতে রনিল বিক্রমাসিংহেকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি তীব্র পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন।
কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালের উপ-মহাপরিচালক রুকশান বেল্লানা বলেন, গুরুতর জটিলতা ঠেকাতে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তীব্র পানিশূন্যতার চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে আনার সময় তিনি গুরুতর ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। তবে বর্তমানে বিক্রমাসিংহের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেল্লানা।
কলম্বোর কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে শ্রীলঙ্কার প্রধান সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।কারাগারের চিকিৎসা কেন্দ্রে তাকে এ ধরনের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়।
শনিবার সকালের দিকে ৭৬ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহেকে কারাগারে দেখতে যাওয়া দেশটির বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা বলেন, কারাগারে সাক্ষাতের সময় সাবেক প্রেসিডেন্টের মনোবল দৃঢ় ছিল। দেশটির বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করে বলেছে, আবারও ক্ষমতায় ফিরতে পারেন আশঙ্কায় সরকার রনিল বিক্রমাসিংহেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় গণ-অভ্যুত্থানের পর গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও তাঁর স্ত্রী নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন।
পরে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেও ২০২৪ সালের সেপ্টেমবরে পদত্যাগ করেন। ২০২২ সালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট থেকে শ্রীলঙ্কাকে উত্তরণের কৃতিত্ব তারই বলে মনে করা হয়। তবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে স্ত্রী প্রফেসর মাইথ্রীর যুক্তরাজ্যের এক ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সরকারি অর্থে ভ্রমণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
অনলাইন ডেক্স 






















